জ্বর-ফ্লু ঠেকাবেন কীভাবে?
এখন শীতকাল। আর এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন টাও হয় অত্যাধিক। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় খুব সাবধান থাকতে হয়। কারণ সহজেই ঠান্ডা লেগে জ্বর আসতে পারে এবং রোগটা ও খুব ছোঁয়াচে। মনে করেন যে আপনি বাসে যাচ্ছেন, আপনার পাশের যাত্রীর ঠান্ডা লেগে আছে। এখন তাহলে আপনি সংক্রমণ ঠেকাবেন কীভাবে?
এর জন্য একটি কার্যকর উপায় হলো, মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন, নাকের ব্যবহার কম করুন। আর যতটা সম্ভব চোখ বন্ধ করে রাখুন। কেন বলেন তো? কারণ আমাদের নাকের ভেতরের অংশ খুব নাজুক। এটি খুব সহজেই আক্রান্ত হয়ে যায়। যেমন আপনার পাশে বসা কেউ হাঁচি দিলো, আর অমনি ভাইরাস আপনার নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ল। এর জন্য কাপড়ের আবরণ দিয়ে নাক ঢেকে রাখা যায় কিংবা একটা মাস্ক পড়ে থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে নাকের চেয়ে মুখ যেহেতু সহজে আক্রান্ত হয় না, তাই মুখে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যেতে পারে। চোখও খুব স্পর্শকাতর। সহজেই ঠান্ডা লেগে চোখে পানি ঝরতে শুরু করে। এ জন্য সহজে চোখ যেন আক্রান্ত না হয় সেটা দেখা দরকার। হাতের মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটে। তাই দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া দরকার। হাত দিয়ে চোখ মোছা উচিত নয়। এর মাধ্যমে ঠান্ডা-জ্বরের সংক্রমণ ঘটে। ফ্লু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে ভিড়ের মধ্যে হাঁটা-চলাফেরা এড়ানো ভালো। ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটি জার্নাল ১৯৮১ সালে একটি সমীক্ষা চালিয়ে নাক, চোখ ও মুখের কোনটির মাধ্যমে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি, কোনটিতে কম, তা বের করে। ফলাফলে দেখা গেছে, মুখের চেয়ে চোখ ও নাক বেশি নাজুক। আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি এই জরিপ প্রকাশ করে (সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ১৫ নভেম্বর ২০১৬)। তবে মনে রাখা দরকার যে স্বাভাবিক পরিবেশে নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ নাকের ভেতর দিয়ে বাইরের বাতাস দীর্ঘ সরু পথে এঁকেবেঁকে যাওয়ার সময় ধুলাবালুমুক্ত হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা গ্রহণ করে ফুসফুসের জন্য সহনীয় পর্যায়ে যায়। সুস্থ শরীরের জন্য এটা দরকার।
তবে যাই বলুন না কেন, সামান্য সর্দিকাশি কিন্তু আপনার প্রচন্ড বিরক্তের কারন হতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য আপনার সচেতনতার কোনই বিকল্প নেই। তাই সুস্থ থাকার জন্য সচেতন হোন।
আপনারা নিজেদের লেখা প্রকাশ করার জন্য সরাসরি যোগাযোগ ফর্ম কিংবা ই-মেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।